কাজী নজরুল ইসলামের ‘সাম্যের গান গাই’ অনুসরণে প্যারডি কবিতা
ট্যাক্শের গান গাই
আমার চক্ষে ট্যাক্শে ও করে কোন ভেদাভেদ নাই।
বিশ্বে যা- কিছু অনাসৃষ্টি, চির অকল্যাণকর
অর্ধেক তার আনিছে ট্যাক্শ অর্ধেক তার কর।
ট্যাক্শের গাই গান
ট্যাক্শের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান।
বিশ্বে যা-কিছু স্থায়ী দেখিতেছ, যাহা কিছু টেকসই।
অর্ধেক তার গড়িয়াছে কর, অর্ধেক ট্যাক্শই।
ট্যাক্শের গান গাই
আমার চক্ষে ধনী-দরিদ্রে কোন ভেদাভেদ নাই।
কে তুমি? ওঃ চাষী? মজুর? ফেরিয়াল? ভিখারী? মিন্তি আরে
গম-ভুষিওলা? চারচাকা-ঠেলা? করে যাও যাহা পার।
বন্ধু যা-খুশী হও
পেটে পিঠে কাঁধে কোমরে যা-খুশী বোঝা ও গাট্টি বও,
কুড়মুড় ভাজা, পিঁয়াজু-ফুট্কি চানাচুর বিক্রয়
যা কর বন্ধু, দিতে হবে মোরে বার আনা অক্ট্রয়।
পুরান-ধুরান ফাটা তেনা পরে লাঠি-ভর ঠক্ঠক্
সিমেন্ট-বস্তা কাগজের ব্যাগ বেচে যাও যত সখ
হাতের পয়সা ট্যাকে গুঁজিতেছ, ট্যাক্ হতে কাঁছা খোল্,
কিন্তু, কেন এ প-শ্রম মগজে হানিছ শূল?
যতই চেষ্টা কর না বন্ধু, পারিবে না দিতে ফাঁকি
তুমি যদি থাক ডালে-ডালে আমি পাতায়-পাতায় থাকি।
ট্যাক্শে নাই রেহাই
ট্যাক্শ কার বেহাই?
মুনশী পাল সে শ্বশুর বাড়ি সকলে ঘর-জামাই
একা সে টানিছে হাল, সকলে খাইছে পর-কামাই।
ট্যাক্শের গান গাই
(সংক্ষিপ্ত)
আরও পড়ুন আপনার মতামত লিখুন