Bangla Runner

ঢাকা , সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৪ | বাংলা

শিরোনাম

বিখ্যাতদের ১০ উক্তি টিআইবির দুর্নীতিবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় চাঁদাবাজ বদল হয়েছে, চাঁদাবাজী সিস্টেমের কোনো বদল আসেনি কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি রম্য বিতর্ক: ‘কুরবানীতে ভাই আমি ছাড়া উপায় নাই!’ সনাতনী বিতর্কের নিয়মকানুন গ্রীষ্ম, বর্ষা না বসন্ত কোন ঋতু সেরা?  বিভিন্ন পত্রিকায় লেখা পাঠানোর ই-মেইল বিশ্বের সবচেয়ে দামি ৫ মসলা Important Quotations from Different Disciplines
Home / ক্যাম্পাস

ক্যান্টিন মালিক বললেন, ধারদেনা করে লাখ টাকা চাঁদা দিয়েছি

নিজস্ব প্রতিবেদক
রবিবার, ১৪ জুলাই, ২০১৯ Print


66K

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসিমউদদীন হল সংসদের তিন নেতার বিরুদ্ধে à§§ এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ করেছেন একই হলের à¦•à§à¦¯à¦¾à¦¨à§à¦Ÿà¦¿à¦¨ পরিচালক। হল সংসদের শীর্ষ তিন নেতা এ চাঁদার টাকা ভাগ বটোয়ারা করে খেয়েছেন বলে অভিযোগ। তারা হলেন ছাত্র সংসদের ভিপি ফরহাদ আলী, জিএস ইমাম হাসান এবং এজিএস সাইফুল ইসলাম।

সম্প্রতি হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহর কাছে যেয়ে এই অভিযোগ দিয়েছেন ক্যান্টিনের পরিচালক। তবে অভিযুক্তদের সবাই এই ঘটনাকে ‘উদ্দেশ্য প্রণোদিত’ দাবি করে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ক্যান্টিন পরিচালক হল সংসদের শীর্ষ তিন নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিচ্ছেন এমন একটি ভিডিও শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে ব্যাপক হৈ চৈ পড়ে যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনেকেই বলছেন, ‘অথচ নির্বাচনের আগে তারা ক্যান্টিনের খাবারের মান উন্নত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন’। ফেইসবুকে ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে ক্যান্টিন পরিচালক অভিযোগ করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের পর হলের ভিপি ফরহাদ, জিএস এনাম এবং এজিএস সাইফুল বিভিন্ন সময় ক্যান্টিনে এসে খাবার ফেলে দিত। তারা দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না পেয়ে হুমকি দিত এবং ক্যান্টিনে এসে খাবার ফেলে দিত। পরে আমি বাধ্য হয়ে ধার-দেনা করে এক লাখ ২০ হাজার টাকা তাদেরকে দেই।

অভিযোগের বিষয়ে জসীমউদদীন হলের ভিপি ফরহাদ আলী বাংলা রানারকে বলেন, ‘কোন টাকা-পয়সা, কোন লেনদেন কেউ কইতে পারবে না হইছে। হলের মুচি থেকে দোকান কোথাও থেকে আমরা এক পয়সা নেই নাই। কেউ বলতে পারবে না। সামনে হল শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলন। তাই আমাদের কেউ যাতে নেতৃত্বে (হল ছাত্রলীগে) আসতে না পারে সে জন্য আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। যাতে হলের ভিপি, জিএস, এজিএস কেউ নেতা হতে না পারে।

ভিডিওটা সম্ভবত রমজানে ধারণ করা তবে প্রভোস্ট স্যার এখনো আমাদের এই বিষয়ে কিছু বলেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ক্যান্টিন মালিককে জোর করে লুঙ্গি পরা অবস্থায় হল থেকে ধরে নিয়ে ল ফ্যাকাল্টিতে স্যারের রুমে নিয়ে গেছে। আমাদের ওপর হিংসা করে এ কাজ করানো হয়েছে।’

অভিযোগ নাকচ করে জিএস ইমাম হাসান বাংলা রানারকে বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাকে জোর করে স্বীকার করানো হইছে। যার অডিও রেকর্ড আমার কাছে আছে। আমিসহ হল সংসদের  à¦­à¦¿à¦ªà¦¿-এজিএস হলে ছাত্রলীগের কেন্ডিডেট। আমাদের বাইরে  à¦†à¦°à§‹ ৬ জন ক্যান্ডিডেট আছে। আমরা যাতে হল ছাত্রলীগের নেতৃত্বে না আসতে পারি সে জন্য অন্যরা ভিডিও করাইছে। এ বিষয়ে হল সংসদের ১৩ জনসহ ক্যান্টিন কর্তৃপক্ষকে আগামী ১৬ তারিখ মিটিংয়ে ডেকেছেন প্রভোস্ট স্যার। কিন্তু তার আগেই ভিডিওটি ভাইরাল করা হয়েছে আমাদেরকে হেয় করার জন্য।’

খাবার ফেলে দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পচা মাছ ও সবজি রান্না করার কারণে গত ২১ রোজার সময় আমরা মাছ ফেলে দিছি। পরের দিন বটবটি ও শসা ছিল তা ফেলে দিছি। কারণ ওগুলো ভাল ছিল না। হলের ছাত্ররা প্রকাশ্যে তা দেখেছে। যদি ওগুলো পচা না হত তাহলে তখনই সবাই জানত।’

এজিএস সাইফুল ইসলাম বাংলা রানারকে বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত। ভিডিওটি যদি ভাল মত শুনে থাকেন তবে দেখবেন পাশ থেকে (ক্যান্টিন পরিচালককে) বলে দেয়া হচ্ছিল- এ নিছে ও নিছে (টাকা)।’ কারা আপনাদের বিরুদ্ধে এটি ছড়ালো? জবাবে তিনি বলেন, ‘হল সংসদেরই সম্পাদক লেভেলের কয়েকজন। তারা হল ছাত্রলীগের ক্যান্ডিডেট।’

আপনারা সবাই ছাত্রলীগের এবং এক আদর্শের তবুও কেন তারা এমনটি করছে বলে মনে করছেন? প্রশ্নের উত্তরে সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে তারা ব্যক্তি স্বার্থ দেখছে। আমাদের ইমেজ নষ্ট করতে পারলে তারা সহজেই হলের নেতা হতে পারবে এমন চিন্তা থেকে।’

তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য জানতে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন আপনার মতামত লিখুন

© Copyright -Bangla Runner 2024 | All Right Reserved |

Design & Developed By Web Master Shawon