Bangla Runner

ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ | বাংলা

শিরোনাম

শীতকালীন ত্বকের যত্নে পাঁচ পরামর্শ কম্পিউটারের কিছু শর্টকাট ভালো চাইলে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে দৌড়াতে শুরু করুন বিশ্বের বৃহত্তম সাত স্টেডিয়াম যুদ্ধ লাগলেই কেন বাড়ে স্বর্ণের দাম? তথ্যপঞ্জী লেখার নিয়ম বিতর্কের বিষয় ব্যাংক বিতর্কে শব্দ ব্যবহারে সচেতন হতে হবে একজন ভাল লেখক হতে চাইলে এক নজরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
Home / ক্যাম্পাস

জিয়াউর রহমান ‘ঘটনাচক্রে মুক্তিযোদ্ধা’, মন্তব্য অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাতের

নিজস্ব প্রতিবেদক
শনিবার, ০৫ অক্টোবর, ২০১৯ Print


সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ‘ঘটনাচক্রে মুক্তিযোদ্ধা’ বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত। তিনি বলেছেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন দু’ধরণের। এক হল বাই চয়েস মানে স্বেচ্ছায় যারা যুদ্ধে গিয়েছিলেন আর দ্বিতীয়টি হল বাই চান্স বা ঘটনাচক্রে মুক্তিযোদ্ধা। জিয়াউর রহমান ছিলেন ঘটনাক্রমে মুক্তিযোদ্ধা। আর আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছি তারা মৃত্যুকে জেনে নিয়েই গিয়েছি।’ শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কারাস অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

‘আসুন দুর্নীতিবাজ মুখোশধারীদেরকে ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করি’ শীর্ষক ওই আলোচনা সভায় তিনি বলেন, আমার ভয় হয়। কারণ বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালের মার্চ মাসে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আমার কৃষক দুর্নীতি করে না, আমার শ্রমিক দুর্নীতি করে না, দুর্নীতি করে ‘শিক্ষিত্’ লোক। তিনি তাদের ‘শিক্ষত’ বলেন নাই, বলেছেন ‘শিক্ষিত্’। ২০% শিক্ষত লোকের মধ্যে à§«% লোক দুর্নীতি করে। তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় প্রজন্মের মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন। তারপর আর তাকে বাঁচতে দেওয়া হয় নাই। আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও যখন দুর্নীতি বিরোধী অভিযান শুরু করেছেন তখন ষড়যন্ত্রকারীরা বসে নেই। ষড়যন্ত্র যে হচ্ছে না- এ কথা আমরা কেই বলতে পারব না।

মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল বলেছেন, আমরা কোটা বিরোধী আন্দোলন প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছি। কোটা বিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী অপশক্তিকে আমরা ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ে দাঁড়াতে দেইনি। আগামীতেও বাংলাদেশের কোথাও আমরা তাদের দাঁড়াতে দেব না। 

দুর্নীতিবিরোধী অভিযান বিষয়ে তিনি বলেন, ‌‌আমরা এতদিন দুর্নীতিবাজদের কুশপুত্তলিকা বানিয়ে তাদেরকে ডাস্টবিনে ফেলেছি। আমরা আর দুর্নীতিবাজদের কুশপুত্তলিকা বানাব না। আমরা তাদের ঘর থেকে ধরে এনে বঙ্গপসাগরে ফেলে দেব। আমরা তাদের অবৈধ টাকা ছিনিয়ে এনে সেই টাকা জনগণের মাঝে বিলিয়ে দেব। দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধকে আমরা দ্বিতীয় প্রজন্মের মুক্তিযুদ্ধ হিসেবে নিলাম।

মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের সঞ্চালনায় ঢাবি শাখার সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কেন তাদের অনুষ্ঠানে এমপি-মন্ত্রীদের অতিথি করে না সে বিষয়ে আপনারা নানা সময়ে প্রশ্ন করে থাকেন। আজ আমি আপনাদের সেই বিষয়টি জানাতে চাই। জননেত্রী শেখ হাসানি সংসদে একদিন বলেছেন, তিনি ছাড়া বাকি সবাইকে কেনা যায়। তার মানে হল সকল এমপি-মন্ত্রীকে কেনা যায় অর্থাৎ তারা দুর্নীতিগ্রস্থ। তাই মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ আগামীতেও কখনোই এমপি-মন্ত্রীদের অনুষ্ঠানে অতিথি করবে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি তানভীর মাহতাব সৈকত বলেন, দলের নাম ব্যবহার ও বিক্রি করে যারা কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে, বিদেশে পাচার করেছে তাদের দল থেকে বহিস্কার করে দেয়া হোক। তাদের রাষ্ট্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত পদ থেকে অপসারণ করা হোক।

অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সনেট ইসলাম, ঢাবির মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের তাওহিদুল ইসলাম মাহিম, স্যার এ এফ রহমান হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন সরকারসহ সংগঠনটির বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভাশেষে রাতে ডাকসু ক্যাফেটেরিয়াতে এক বিশেষ নৈশ ভোজের মধ্য দিয়ে শেষ হয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান।

আরও পড়ুন আপনার মতামত লিখুন

© Copyright -Bangla Runner 2021 | All Right Reserved |

Design & Developed By Web Master Shawon