Bangla Runner

ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ | বাংলা

শিরোনাম

শীতকালীন ত্বকের যত্নে পাঁচ পরামর্শ কম্পিউটারের কিছু শর্টকাট ভালো চাইলে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে দৌড়াতে শুরু করুন বিশ্বের বৃহত্তম সাত স্টেডিয়াম যুদ্ধ লাগলেই কেন বাড়ে স্বর্ণের দাম? তথ্যপঞ্জী লেখার নিয়ম বিতর্কের বিষয় ব্যাংক বিতর্কে শব্দ ব্যবহারে সচেতন হতে হবে একজন ভাল লেখক হতে চাইলে এক নজরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
Home / ক্যাম্পাস

বুয়েট ছাত্রকে হত্যার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব

নিজস্ব প্রতিবেদক
সোমবার, ০৭ অক্টোবর, ২০১৯ Print


শিবির সন্দেহে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলের এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। মৃত শিক্ষার্থী বুয়েটের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। তাকে আবরার হত্যার সময়কার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ গায়েব করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে প্রভোস্ট কার্যালয় ঘিরে রেখেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে, রাত ২টা ৬ মিনিটের পর আর কোন ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না। ওই ফুটেজ পেলে হত্যার বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। এছাড়া একাধিক শিক্ষার্থী মোবাইলে ভিডিও করার কথা শোনা গেলেও তা এখনো পাওয়া যায়নি।

ওই হলের সিসি টিভির ভিডিও ফুটেজ প্রকাশের মাধ্যমে খুনীদের চিহ্নিত করার দাবিও জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। অন্যথায় দেশের সকল ক্যাম্পাসে এক যোগে আন্দোলন শুরুর ঘোষণা দেবে তারা।

এ ব্যাপারে মিহি নামে বুয়েটের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা সিসিটিভি ফুটেজের জন্য প্রভোস্টের রুম অবরুদ্ধ করে রেখেছি। যতক্ষণ না পর্যন্ত আমাদের সিসিটিভি ফুটেজ দেখানো হবে আমরা এই জায়গা ছাড়বো না।

হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিবির সন্দেহে আবরারকে রবিবার রাত আটটার দিকে হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে রাত আড়াইটার দিকে হলের সিঁড়ির পাশে আবরারের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে ডাক্তারকে খবর দিলে তিনি এসে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মারধরের সময় ওই কক্ষে উপস্থিত ছিলেন বুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আশিকুল ইসলাম বিটু। তিনি বলেন, আবরারকে শিবির সন্দেহে রাত আটটার দিকে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে আনা হয়। সেখানে আমরা তার মোবাইলে ফেসবুক ও মেসেঞ্জার চেক করি। ফেসবুকে বিতর্কিত কিছু পেইজে তার লাইক দেয়ার প্রমাণ পাই।


সে কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগও করেছে। শিবির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাই। এক পর্যায়ে আমি রুম থেকে বের হয়ে আসি। এরপর হয়তো তাকে মারধর করে থাকতে পারে। পরে রাত তিনটার দিকে শুনি আবরার মারা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে ফাহাদের একজন রুমমেট ঘটনার বিষয়ে কালের কণ্ঠকে বলেন, টিউশনি শেষে রুমে রাত নয়টার দিকে আসি। তখন আবরার রুমে ছিলো না। অন্য রুমমেটদের কাছ থেকে জানতে পারি তাকে ছাত্রলীগের ভাইয়েরা ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে গেছে। পরে রাত আড়াইটার দিকে হলের একজন এসে আবরার আমাদের রুমমেট কিনা জানতে চান। আমি হ্যাঁ বললে সিঁড়ি রুমের দিকে যাওয়ার জন্য বলেন। পরে সিড়ি রুমের দিকে গিয়ে একটা তোশকের ওপরে আবরার পড়ে আছে। পরে ডাক্তার এসে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শেরে বাংলা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাফর ইকবাল খান বলেন, ডাক্তারের ফোন পেয়ে হলে আসি। এসে ছেলেটির লাশ পড়ে আছে। ডাক্তার জানান ছেলেটি আর নেই। পরে তাকে পুলিশের সহায়তায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে ফুটেজের বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হয়নি তিনি।

আরও পড়ুন আপনার মতামত লিখুন

© Copyright -Bangla Runner 2021 | All Right Reserved |

Design & Developed By Web Master Shawon