Bangla Runner

ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ | বাংলা

শিরোনাম

শীতকালীন ত্বকের যত্নে পাঁচ পরামর্শ কম্পিউটারের কিছু শর্টকাট ভালো চাইলে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে দৌড়াতে শুরু করুন বিশ্বের বৃহত্তম সাত স্টেডিয়াম যুদ্ধ লাগলেই কেন বাড়ে স্বর্ণের দাম? তথ্যপঞ্জী লেখার নিয়ম বিতর্কের বিষয় ব্যাংক বিতর্কে শব্দ ব্যবহারে সচেতন হতে হবে একজন ভাল লেখক হতে চাইলে এক নজরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
Home / ক্যাম্পাস

সাহিত্য আড্ডায় এমিরেটস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী:

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বসে যাবে, উন্নতি করবে প্রাইভেট আর মাদ্রাসা

ঢাবি প্রতিনিধি
শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৯ Print


আগামী দিনে প্রাইভেট ও মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়ন ঘটবে এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পিছেয়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের এমিরেটস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।

তিনি বলেছেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বসে যাবে, দেবে যাবে অথবা কাত হয়ে পরে যাবে। উন্নয়ন করবে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। কারণ সেখানে কোন গোলযোগ নেই, ছাত্র হত্যা নেই, নির্যাতন নেই, সেশনজট নেই। আমাদেরই শিক্ষকরা সেখানে যেয়ে পড়াচ্ছেন। তাই তারা উন্নতি করতে থাকবে। আর উন্নতি করবে মাদ্রাসা। মাঝখানে বাদ যাচ্ছে মূলধারা যারা মাতৃভাষার শিক্ষা। সেই ধারা ক্রমাগত দেবে যাচ্ছে। এটা হল বিপদের লক্ষণ।

২৮ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার ২০১৯ বিকেলে টিএসসিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাহিত্য সংসদ আয়োজিত "সমাজ গঠনে সাহিত্য" শীর্ষক সাহিত্য আড্ডায় অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে সংগঠনের উদ্যোগে ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা “অনুরণন” এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

সংগঠনটির ধারাবাহিক ৫৬তম ওই সাহিত্য আড্ডায় আলোচক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চিন্তাবিদ ও গবেষক আবুল কাসেম ফজলুল হক এবং প্রাবন্ধিক ও সমাজচিন্তক আফজালুল বাশার। আয়োজনের মিডিয়া পার্টনার ছিল বাংলা রানার ও ডিইউ টিভি।

অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্বে সঞ্চালনা করেন à¦¬à¦¾à¦‚লা একাডেমির উপপরিচালক কবি আমিনুর রহমান সুলতান। আর প্রশ্নোত্তর পর্বের সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক প্রীতম চক্রবর্ত্তী। প্রশ্নকারীদের মধ্য থেকে পাঁচজনকে সংগঠনটির পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা হয়।  

 

শেক্সপিয়ার একজন রক্ষণশীল লেখক ছিলেন মন্তব্য করে ইংরেজি সাহিত্যের এই শিক্ষক বলেন, "শেক্সপিয়ার রাজার সমর্থক ছিলেন। কিন্তু তার লেখনি রাজতন্ত্রের পতনকে ত্বরান্বিত করেছে।'' শেক্সপিয়ারকে উদাহরণ হিসেবে দেখিয়ে তিনি মন্তব্য করেন, "সাহিত্যিকের অভিপ্রায়কেও ছাড়িয়ে যায় তার সৃষ্টি"।

সমাজ গঠনে সাহিত্য  শীর্ষক ওই আলোচনায় অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী মন্তব্য করেন, "সাহিত্যের কাছ থেকে আমরা যেটা প্রত্যাশা করি সেটা সমাজ গঠন নয়, সেটা সমাজ পরিবর্তনের।"

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাহিত্য সংসদের ৫৬তম এই আড্ডায় সমাজের বিভিন্ন লেখক ও সাহিত্যিকদের অবদান ও ত্যাগের গল্প তুলে ধরেন বিশিষ্ট লেখক ও কলামিস্ট আবুল কাশেম ফজলুল হক।সমাজের অসংগতি তুলে ধরতে যেয়ে লেখকরা জীবনে কী পরিমাণ তিরস্কার ও সমালোচনার মুখে পড়েছেন সে সম্পর্কে তিনি বর্ণনা করেন ।

প্রাবন্ধিক ও সমাজচিন্তক আফজালুল বাশার তার বক্তৃতায় মুক্তিযুদ্ধ ও সাহিত্য প্রসঙ্গকে তুলে ধরেন। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রাশিয়ার চিঠি এবং ম্যাক্সিম গোর্কির লেখা মা উপন্যাসসহ তার পাঁচটি উপন্যাস পড়ার আহ্বান জানান। ভাষা আন্দোলনের সময় থেকে বিভিন্ন লেখক তাদের প্রবন্ধ ও লেখেনির দ্বারা কিভাবে মানুষকে সচেতন ও সোচ্চার করেছে তা তুলে ধরেন আফজালুর বাশার। 

আরও পড়ুন আপনার মতামত লিখুন

© Copyright -Bangla Runner 2021 | All Right Reserved |

Design & Developed By Web Master Shawon