Bangla Runner

ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ | বাংলা

শিরোনাম

শীতকালীন ত্বকের যত্নে পাঁচ পরামর্শ কম্পিউটারের কিছু শর্টকাট ভালো চাইলে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে দৌড়াতে শুরু করুন বিশ্বের বৃহত্তম সাত স্টেডিয়াম যুদ্ধ লাগলেই কেন বাড়ে স্বর্ণের দাম? তথ্যপঞ্জী লেখার নিয়ম বিতর্কের বিষয় ব্যাংক বিতর্কে শব্দ ব্যবহারে সচেতন হতে হবে একজন ভাল লেখক হতে চাইলে এক নজরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
Home / ক্যাম্পাস

দিনেও মশারি টানাতে হয় ঢাবি শিক্ষার্থীদের

এম.এস.আই খান
মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৯ Print

ফাইল ছবি


'জ্বলন্ত কয়েলের ওপর বসে আছে মশা! দিনেদুপুরে মশারি টাঙিয়ে পরীক্ষা প্রস্তুতি নিচ্ছেন কেউ কেউ।' সারাদেশে যখন ডেঙ্গু আতঙ্ক চরমে তখন এমন দৃশ্য ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখন ডেঙ্গুর প্রকোপ কমলেও কমেনি মশার অত্যাচার। দিনের বেলা মশার উৎপাত কিছুটা কমলেও সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে শুরু হয় প্রবল আক্রমন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো ঘুরে দেখা গেছে অনেক শিক্ষার্থীই সন্ধ্যার পরে মশারি টানিয়ে তার ভিতর অবস্থান করে লেখাপড়া করেন।

মশার কামড়ের কারণে শান্তিমতো ঘুম কিংবা পড়াশোনা কোনোটাই করতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা। মাস্টার দ্যা সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থী নাজমুল হুদা আজাদ বলেন, হলে মশার উপদ্রব ইদানীংকালে অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে।দিনে বা রাতে হোক,মশারি বিহীন এক ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন ঘুম অচিন্তনীয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনেরও তৎপরতা আরো বাড়ানো উচিত।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি আবাসিক হলের আশপাশের নর্দমা, ঝোপঝাড় পরিষ্কার না করে শুধু ওষুধ স্প্রে করায় কোনো লাভ হচ্ছে না। 

থেমে থেমে সিটি কর্পোরেশন থেকে মশা নিধনে ছিটানো ওষুধে আশানুরূপ ফল না পাওয়ায় গত বছরের শেষ দিকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় মশা নিধনের সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল হল স্ব স্ব উদ্যোগে ফগার মেশিন ক্রয় এবং কীটনাশক ঔষধ ছিটানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা বলছেন, ওষুধ ছিটানোর পরেও তা ঠিকমত কাজ করছে না। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রসিকতা করে লিখছেন, মশার ওষুধ ছিটানোর পরে মশা মাতাল হয়ে যায়, তখন পাগলের মত কামড়াতে শুরু করে!

শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের তৃতীয় বর্ষের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, 'জহুরুল হক হলের মেইন বিল্ডিংয়ে সন্ধ্যা হওয়ার সাথে সাথেই কয়েল জ্বালাই এবং মশারী টানিয়ে পড়তে বসি! যেদিন নিচ তলায় মশার ঔষধ দেয় সেদিন দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তলায় আরো বেশি মশা লাগে।' শামসুন নাহার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী রেজওয়ানা শারমিন বলেন, 'শামসুন নাহার হলেও প্রচুর মশা। মশার জন্য ঔষধ দেওয়া হলেও মশা কমে না।'

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রনি মোহাম্মাদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে মশা এক আতঙ্কের নাম।শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নয় পুরো ঢাকা শহরেই রয়েছে মশার ছড়াছড়ি। মশার উপদ্রব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ভাবে দেখা দিয়েছে তা শিক্ষার্থীদের জীবনে বয়ে আনতে পারে করুণ পরিনতি। ইতিমধ্যে কয়েকটি তাজা প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এই মশা। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনতিবিলম্বে মশা নিধনে আরো জোড়ালো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)'র এজিএস সাদ্দাম হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন নানা ধরণের উন্নয়ন কাজ চলছে। এখান থেকে ধূলি দূষণ ছড়াচ্ছে। ইদানিং মশার উৎপাত বেড়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় মশা নিয়ন্ত্রণে যে পদক্ষেপ নিচ্ছে তা শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য পর্যাপ্ত নয়।

ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, এখন ডিসেম্বর মাস চলায় অনেকেই বাড়ি চলে গেছেন। অনেকে পরীক্ষা বা অন্যান্য কাজের জন্য আছেন। হলগুলোতে মশার পরিমাণ বেড়ে গেছে। আমরা ডাকসুর পক্ষ থেকে অভিযান আরো বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিস এবং প্রতিটি হল মশা নিধনে কাজ করছে। সিটি কর্পোরেশনও নিয়মিতভাবে ওষুধ ছিটাচ্ছে।' ওষুধ ছিটানোর পরেও কেন মশা কমছে না জানতে চাইলে প্রক্টর বলেন, ওষুধে কোন ভেজাল করছে কি না সেটি বিক্রেতারা জানেন। প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানাই ভেজাল ওষুধ বন্ধে তারা যেন পদক্ষেপ নেয়।

আরও পড়ুন আপনার মতামত লিখুন

© Copyright -Bangla Runner 2021 | All Right Reserved |

Design & Developed By Web Master Shawon