ঢাবিতে আমার বঙ্গবন্ধু বক্তৃতা প্রতিযোগিতা
তত্ত্ববধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল মনে করেন, বাঙালি জাতির অস্তিত্বের সঙ্কট মোচনে বঙ্গবন্ধুকে চেনা জরুরি। তিনি বলেছেন, যারা দেশের জন্যে ত্যাগ তিতিক্ষা করেন, তাদের মনে না রাখলে অস্তিত্বের সঙ্কট দেখা দেয়। কাজেই আমাদের অস্তিত্বের সঙ্গট মোচনে বঙ্গবন্ধুকে চেনাটা খুবই জরুরি। তিনি বাংলাদেশের প্রতীক। তিনি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক, তিনি আমাদের অস্তিত্বের প্রতীক।
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ২২ নভেম্বর, সোমবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হল মিলনায়তনে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত 'আমার বঙ্গবন্ধু' শীর্ষক আন্তঃহল বক্তৃতা প্রতিযোগিতার অষ্টম পর্বের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হলের ভারপ্রাপ্ত প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শামীম বানুর সভাপতিত্বে এবং সাবেক ডাকসু সদস্য তিলোত্তমা শিকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অ্যাসোসিয়েশনের মুজিব শতবর্ষ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মোল্লা মো. আবু কাওছার এবং সদস্য সচিব সুভাষ সিংহ রায়। এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অ্যাসোসিয়েশনের যোগাযোগ ও প্রচার সম্পাদক ও বক্তৃতা প্রতিযোগিতার সমন্বয়ক কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুলতানা কামাল বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু জীবনের বেশিরভাগ সময়ই দেশের মানুষের অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করার জন্যে কারাগারে কাটিয়েছেন। তিনি তার পরিবারের সঙ্গে জীবনে এক নাগাড়ে দুই সপ্তাহও কাটাতে পারেননি। শুধু বঙ্গবন্ধুই নন, তার সঙ্গে তার পরিবারও সংগ্রাম করেছেন। তিনি তার শত ব্যস্ততার মাঝেও মানুষের কাছে গিয়েছেন, তাদের বুকে টেনে নিয়েছেন। এজন্যেই তিনি আমাদের বঙ্গবন্ধু।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আজকাল দেখা যায়, অনেকে বলেন যে, তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সঙ্গে তাদের আদর্শের অমিল দেখা যায়। যার প্রমাণ সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক হামলা। এটা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ না। তার আদর্শকে শুধু মুখে মুখে ধারন করে তার আদর্শ বিরোধী কাজ করলে বঙ্গবন্ধুকে অপমান করা হয়। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত আদর্শ ধারন করার আহ্বান জানান।
প্রতিযোগিতায় ১২ জনের মতো শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। তাদের চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহফুজা মাহবুব। অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
গত ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে আগামী ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলে এই বক্তৃতা প্রতিযোগিতা চলবে। প্রত্যেক হল থেকে প্রথম স্থান অধিকার করা শিক্ষার্থীরা আগামী ১১ ডিসেম্বর প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।
আরও পড়ুন আপনার মতামত লিখুন