পদ্মা সেতুতে লাল বাস চায় কীর্তিনাশা
দেশের সক্ষমতার প্রতীক পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) লালবাস চালুর দাবি জানিয়েছে শরীয়তপুর জেলার শিক্ষার্থীদের সংগঠন কীর্তিনাশা। সোমবার (০৪ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে ঢাবিতে অধ্যয়নরত শরীয়তপুর জেলার শিক্ষার্থীদের সংগঠন কীর্তিনাশার সভাপতি তানভীর ইসলাম প্রিন্স, সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম এবং সংগঠনের সাবেক নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে একদল শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করে এ দাবি জানান। এ সময় তারা একটি লিখিত আবেদন পেশ করে শরীয়তপুর পর্যন্ত বাস সেবা চালুর দাবি জানান।
উপাচার্যকে দেওয়া আবেদনে তারা বলেন, "মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে সেতু উপহার দিয়েছেন। সেই আনন্দকে স্বাগত জানিয়ে আপনার পক্ষ থেকে পদ্মা সেতু হয়ে শরীয়তপুর রুটে স্বপ্নের লাল বাস চালুর ঘোষণা হতে পারে আমাদের জন্য তথা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য এক বড় উপহার ও অত্যন্ত আনন্দের ব্যাপার। সেতু চালু হবার পর মাওয়ার অপর প্রান্তের জেলা শরীয়তপুরকে ঢাকার একেবারে নিকটবর্তী করে তুলেছে। জ্যামের কারণে গাজীপুর, সাভার, নরসিংদী প্রভৃতি রুটে ঢাবির বাস পৌঁছাতে যে পরিমাণ সময় লাগে তারচেয়েও কম সময়ে এখন মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার হয়ে মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে ও পদ্মা সেতু দিয়ে শরীয়তপুর পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে।"
এ বিষয়ে স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্র সংসদের সাবেক সদস্য ও কীর্তিনাশার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান লাভলু বলেন, "পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় আমাদের জেলার ছয় শতাধিক শিক্ষার্থীরা বাড়িতে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে বাস রুট চালু না হওয়ায় পদ্মা সেতুর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। আমাদের একটাই দাবি ঈদের পরপরই আমরা স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে লাল বাস দেখতে চাই।"
কীর্তিনাশার সাবেক সভাপতি ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির সহ-সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম খান বলেন, "রাতারাতি একটি ভবন তুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকট সমাধান করা সম্ভব নয়। এর জন্য পর্যাপ্ত বাজেট ও জায়গার প্রয়োজন। কিন্তু ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে বাস সেবা চালু করলে ঢাকায় থাকার চাপ অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। ঢাবি থেকে শরীয়তপুর রুটে বাস চালু করলে এই জেলার শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলে ওঠার পরিবর্তে বিকল্প সুযোগ তৈরি করবে; যা অন্য দূরবর্তী জেলার শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলে সিট পাবার সুযোগকে বৃদ্ধি করবে।"
কীর্তিনাশার বর্তমান সভাপতি তানভীর ইসলাম প্রিন্স বলেন, "আমরা মাননীয় উপাচার্য স্যারের কাছে মৌখিক ও লিখিতভাবে আবেদন জানিয়েছি। স্যার আমাদের আবেদন গ্রহণ করেছেন এবং পদ্মা সেতু দিয়ে বাস চালুর ব্যাপারে ইতিবাচক আশ্বাস ব্যক্ত করেছেন।"
কীর্তিনাশার সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম বলেন, অন্যান্য জেলাগামী ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের লালবাস যেসব রুটে চলাচল করে তার থেকে অতিদ্রুত আমদের শরীয়তপুর যেতে পাড়বে। মাননীয় উপাচার্য মহোদয় শরীয়তপুর রুটে বাস দিলে আমাদের মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ উপকার হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
আবেদনপত্র প্রদানের সময় অনান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্য, কবি জসীম উদ্দীন হল ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুস্তাকিম আহমেদ, ২০১৬-১৭ সেশনের মোঃ সোহাগ মিয়া, হাবিবুর রহমান ও হুমায়ূন কবিরসহ প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন আপনার মতামত লিখুন