নব আনন্দে জাগো আজ এ নব রবির কিরণে।
শুভ্র সুন্দরো প্রীতি উজ্জ্বলো নির্মলো জীবনে....
বাঙালির হৃৎপিণ্ড ও হাজারো শিক্ষার্থীর সাধনার বিদ্যাপীঠ আমার প্রাণের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। একটি দেশ একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করে, সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এমন এক বিশ্ববিদ্যালয়, যা বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে একটি স্বাধীন দেশের জন্ম দিয়েছে। করোনাকালীন অনিশ্চিত সময়কে পিছনে ফেলে ও একটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মধ্য দিয়ে আমরা এসেছি আমাদের স্বপ্নের ক্যাম্পাস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। আমিও এখন এই প্রিয় ক্যাম্পাসের সবুজ ঘাসের গালিচা আর লাল বাসে চড়ে বেড়ানো শিক্ষার্থীদের একজন।
‘‘শিক্ষা, সহযোগিতা, বন্ধন’’ এই তিন মূলনীতিকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত শরীয়তপুর জেলার শিক্ষার্থীদের সংগঠন কীর্তিনাশা কর্তৃক আয়োজিত স্নাতক প্রথম বর্ষের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে, উপস্থিত মাননীয় প্রধান অতিথি, এছাড়াও এখানে উপস্থিত দেশ বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ, সস্মানিত বিশেষ অতিথিবৃন্দ, আমার বড় ভাই ও বোনেরা, সহপাঠীবৃন্দ ও সুধীমন্ডলী। সকলকে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সালাম।
আমরা ইতোমধ্যেই জানতে পেরেছি, ২০০৮ সালে শরীয়তপুর জেলার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়স্থ একঝাঁক মেধাবী স্বপ্নবাজদের হাত ধরে আমাদের প্রাণের সংগঠন কীর্তিনাশার জন্ম। আমি আজকে সত্যিই আনন্দিত শরীয়তপুরের এতো নক্ষত্রের ভীড়ে আমারও জায়গা হয়েছে ভেবে।
পারস্পরিক পরিচিতি, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সহযোগিতার মাধ্যমে প্রতিভা বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি করে শিক্ষা ক্ষেত্রে আমাদের জেলার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে চলেছে প্রিয় এই সংগঠনটি। ভর্তিচ্ছু ও নবীন শিক্ষার্থীদের জন্য এক আলোকবর্তিকা হিসেবে উপস্থিত হয়েছে কীর্তিনাশা। আমাদের ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে বিষয় নির্বাচন ও হলে আসন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সার্বিক সহায়তা প্রদান করে আসছে প্রিয় এ সংগঠনটি। তাই সদ্য কলেজের গন্ডি পেরিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রাখা আমাদের মত অসংখ্য শিক্ষার্থীদের কাছে কীর্তিনাশা যেন এক ‘অভিভাবকের’ নাম।
শুধু তাই নয় আমাদের মধ্যে যারা আর্থিকভাবে অসচ্ছল তাদের জন্য মেধা বৃত্তির ব্যবস্থা, ম্যাগাজিন প্রকাশ, শিক্ষা সফর, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব বাছাইসহ বহু সৃজনশীল কাজে এ সংগঠনটি ভূমিকা রেখে চলেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির মধ্য দিয়ে শরীয়তপুর জেলার শিক্ষার্থীদের প্রাণের সংগঠন কীর্তিনাশার সদস্য হতে পেরে আমরা গর্বিত ও আনন্দিত। ইনশাআল্লাহ আমাদের প্রজ্ঞা ও পরিশ্রম আমাদেরকে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। আমাদের শরীয়তপুরের জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তির জীবন-দর্শন হয়ে উঠুক আমাদের জ্বলে ওঠার প্রেরণা।
‘‘ধন্যবাদ সকলকে।’’
আরও পড়ুন আপনার মতামত লিখুন