বহু প্রতিক্ষার পর অবশেষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় বিতর্ক সংগঠন ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি (ডিইউডিএস)’র সাবেক সভাপতি এম রাকিব সিরাজীর। ছাত্রলীগের পক্ষে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে ডাকসু নির্বাচনে ব্যাপক আলোচিত থেকেও শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন বঞ্চিত হন জনপ্রিয় এই ছাত্রনেতা।
তবে ডাকসু নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্চিত হবার পরপরই ক্যাম্পাসে গুঞ্জন ছিল ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে মূল্যায়িত হবেন তিনি। অবশেষে গত রোববার (৩১শে জুলাই) ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক চিঠির বরাতে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটলো নেত্রকোণার ছেলে সিরাজীর।
রাকিব সিরাজী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা ও সাহিত্য (আরবি) বিভাগ থেকে অনার্স ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে তিনি আইন বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি ব্যারিস্টার এট ল' করার লক্ষ্যে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামের অংশে ঢাকার লন্ডন কলেজ অব লিগ্যাল স্টাডিজ(এলসিএলএস) এ অধ্যয়নরত রয়েছেন।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক হওয়ার আগে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাহিত্য সম্পাদক ছিলেন। এর আগের কমিটিতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্দীন হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। রাকিব সিরাজী ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিজয়ী প্যানেল ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ’র অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্রের দায়িত্ব পালনের সময় ক্যাম্পাসে আলোচনায় আসেন।
ছাত্র রাজনীতির পাশাপাশি রাকিব সিরাজী বিতর্ক অঙ্গনের একজন পরিচিত মুখ। তিনি প্রথমে ২০১৭-১৮ সময়কালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্দীন হল ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি এবং পরে ২০১৮-১৯ মেয়াদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় বিতর্ক সংগঠন ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি (ডিইউডিএস)’র নির্বাচনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ টি হলের বিতার্কিকের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়ে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়াও আঞ্চলিক ছাত্র কল্যাণধর্মী সংগঠন ঢাকাস্থ ‘কলমাকান্দা উপজেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতি’র সভাপতি ছিলেন তিনি। ছিলেন নেত্রকোণা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদকও।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় রাকিব সিরাজী বাংলা রানারকে বলেন, ‘‘ছাত্রলীগের কর্মী হতে পারা গৌরবের বিষয়, আর নেতা হতে পারা সৌভাগ্যের বিষয়। পদ প্রাপ্তিতে বিশেষ কোনো অনুভূতি বলতে আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবীত হয়ে তাঁর কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করে যেতে সবার দোয়া, সহযোগিতা ও পরামর্শ চাই”।
আরও পড়ুন আপনার মতামত লিখুন