Bangla Runner

ঢাকা , শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ | বাংলা

শিরোনাম

গ্রীষ্ম, বর্ষা না বসন্ত কোন ঋতু সেরা?  এফ রহমান ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি শাখাওয়াত, সম্পাদক আশিক বিভিন্ন পত্রিকায় লেখা পাঠানোর ই-মেইল বিশ্বের সবচেয়ে দামি ৫ মসলা Important Quotations from Different Disciplines স্যার এ এফ রহমান: এক মহান শিক্ষকের গল্প ছয় সন্তানকে উচ্চ শিক্ষত করে সফল জননী নাজমা খানম ‘সুলতানার স্বপ্ন’ সাহিত্যকর্মটি কি নারীবাদী রচনা? কম্পিউটারের কিছু শর্টকাট ভালো চাইলে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে দৌড়াতে শুরু করুন
Home / পাঁচমিশালি

নয়ন রহস্য: ফেলুদা ওয়েব সিরিজ রিভিউ

প্রদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়
বুধবার, ১২ জুন ২০১৯ Print


34K

বেশ কিছুদিন আগে বাংলাদেশ থেকে ফেলুদা ওয়েব সিরিজ তৈরি করা হয়।যার পরিচালক ছিলেন à¦¤à§Œà¦•à§€à¦° আহমেদ। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ফেলুদার ভূমিকায় অভিনয় করেন। তিনটি ফেলুদা কাহিনী নিয়ে তিনটি ওয়েব সিরিজ তৈরি হয়। কাহিনী তিনটি ছিল ঘুরঘুটিয়ার ঘটনা, শেয়াল দেবতা রহস্য এবং গোলকধাম রহস্য। বলা বাহুল্য দর্শকমহলে তিনটি ফেলুদাই হিট হতে ব্যর্থ হয়। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়কে ফেলুদা হিসেবে একেবারেই মানায় নি আর তোপসের বেশি আধুনিক ভাবও দর্শক মহলে সমালোচিত হয়।

ফেলুদার আভিজাত্য যাতে অক্ষুন্ন থাকে সেদিকে আমার মত আপামর ফেলুদা প্রেমীদের লক্ষ্য ছিল। তাই পুনরায় যখন বাংলাদেশ থেকে আর একবার ফেলুদার কোন কাহিনী নিয়ে ওয়েব সিরিজ তৈরীর পরিকল্পনা জাগলো, তখন স্বভাবতই প্রশ্ন ছিল যে তা কেমন হবে এই নিয়ে। কলকাতার পরিবর্তে ঘটনা এখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ঢাকায়। ফেলুদার চরিত্রে অভিনয় করছেন আহমেদ রুবেল। এবার তিনটি পর্বে ফেলুদার কাহিনী নয়ন রহস্য কেমন লাগলো তা নিয়ে মন্তব্য করা যাক-

প্রথম পর্ব:
ম্যাজিক আসর দিয়ে ঘটনার আরম্ভ। ম্যাজিক আসরেই সম্মোহন বিদ্যা এবং বিস্ময় প্রতিভা জ্যোতিষ্ক ওরফে নয়নের আবির্ভাব এবং তার প্রতিভা প্রদর্শন। এরপরই টুকটাক ঘটনা এবং জাদুকরের স্পন্সর প্রাপ্তি। এছাড়া চার জন লোকের আবির্ভাব ঘটে যাদের মধ্যে কেউ জ্যোতিষ্কর থেকে সুবিধা নেয় অথবা কেউ জ্যোতিষ্ককে নিয়ে যেতে চায়, নিজের কাছে রাখতে চায়। স্বাভাবিকভাবেই তাদের প্রস্তাব জাদুকর ফিরিয়ে দেয় এবং সমস্ত ঘটনা থ্রি মাস্কেটিয়ার্সের সামনেই ঘটে। এই প্রথম পর্বে যে জিনিস গুলো উল্লেখ করার মতো তা হল:


* ফেলুদার গলার স্বর খুবই ভালো একদম পরিষ্কার এবং সাধারণত যা আমরা শুনতে চাই।
* মাঝেমধ্যে কথা বলার সময় ফেলুদার কথায় টান এসে গেছে সেটা ওই সময়টায় কানে লাগছে।
* এখনো অব্দি তোপসে পারফেক্ট।
* জটায়ু ভদ্রলোক বেশ চেষ্টা করছেন জটায়ু চরিত্রটিকে সঠিকভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য। এখনো অব্দি খুব একটা সফল হননি, তবুও মন্দের ভালো।
* গাড়ি সম্পর্কে আমার জ্ঞান খুব একটা নেই, তবে একটা সবুজ অ্যাম্বাসেডর জোগাড় করতে পরিচালকের খুব একটা অসুবিধা হওয়ার কথা ছিল না।

দ্বিতীয় পর্ব:
ঘটনার বর্ণনা আর করছি না তাহলে হয়তো দেখার ইচ্ছা অনেকের লোপ পেতে পারে তবে যে বিষয়গুলো বলার এখানে দরকার সেগুলো উল্লেখ করি-
* সবার প্রথমে হরিপদ বাবু লালমোহন বাবুর ড্রাইভার। হরিপদবাবুকে একদম বেমানান ক্যাবলাকান্ত গোছের লাগছে। গাড়ির দরজা খুলেই মাঝেমধ্যে মডেলদের মত বেঁকে দাঁড়িয়ে পড়ছেন।
* তোপসে একেবারেই খাপ খাচ্ছে না।
* প্রথম পর্বে লালমোহন বাবু অনেকটা চেষ্টা করলেও দ্বিতীয় পর্বে কিন্তু লালমোহন বাবু তার চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে ব্যর্থ।


* হিঙ্গোয়ানীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার পর টেলিফোন এরিয়া থেকে সোফা তে আসা পর্যন্ত ফেলুদার হাটা কেমন যেন লাগলো, ভালো লাগলো না।
* দ্বিতীয় পর্বের একদম শেষ পর্যায়ে ফেলুদার দৌড়ানো এবং নয়ন ইজ ইন ডেঞ্জার বলা টা পুরো হাস্যকর। তথাকথিত ফেলুদা কোনদিনও ওরকম করে দৌড়ায়নি।
* চট্টগ্রামে হোটেলে পৌঁছে রিসেপশনে ফেলুদার দাঁড়ানোও ভালো লাগেনি ।

তৃতীয় পর্ব:
এখানে উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলো বললে-
*তেওয়ারির ভাড়া করা গোয়েন্দার সামনে লালমোহন বাবুর প্রদোষ মিত্র সেজে অভিনয় মোটেও ভালো লাগলো না। পূর্বে যারা এই লালমোহন বাবু চরিত্রে অভিনয় করে গেছেন তারা কখনোই এত খারাপ এই অংশটা করত না বলেই বিশ্বাস।
*সম্মোহন হুট করে করে দিলেই তো হল না। দূর থেকে আঙুল কিংবা হাত নাড়িয়ে করতে হবে। এখন মুখের কাছে হাত নিয়ে এসে হাত ঘোরালেই সম্মোহিত হয়ে যায় না। এই অংশটা করা হয়নি ঠিকমতো ।
*অতি ভদ্র বালকের মত তোপসের ব্যবহার তোপসের তোপসে হতে বাধা সৃষ্টি করছে।
*প্রথম পর্বের মত ফেলুদার গলায় আওয়াজে আবার একটু টান। কিন্তু ফেলুদার গলার স্বরটা বেশ পছন্দসই।

এই গেল আমার পক্ষ থেকে তিনটি পর্বে নয়ন রহস্য বিশ্লেষণ । ওভারল ঠিকঠাক, ভালো প্রচেষ্টা। মোটের উপর বেশ ভালো। একবার দেখলে ঠকা হবে না।ওয়েব সিরিজটি দেখতে  পাবেন বায়োস্কোপে।

আরও পড়ুন আপনার মতামত লিখুন

© Copyright -Bangla Runner 2024 | All Right Reserved |

Design & Developed By Web Master Shawon