Bangla Runner

ঢাকা , মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫ | বাংলা

শিরোনাম

বিখ্যাতদের ১০ উক্তি টিআইবির দুর্নীতিবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় চাঁদাবাজ বদল হয়েছে, চাঁদাবাজী সিস্টেমের কোনো বদল আসেনি কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি রম্য বিতর্ক: ‘কুরবানীতে ভাই আমি ছাড়া উপায় নাই!’ সনাতনী বিতর্কের নিয়মকানুন গ্রীষ্ম, বর্ষা না বসন্ত কোন ঋতু সেরা?  বিভিন্ন পত্রিকায় লেখা পাঠানোর ই-মেইল বিশ্বের সবচেয়ে দামি ৫ মসলা Important Quotations from Different Disciplines
Home / বাংলাদেশ

চলে গেলেন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৯ Print


ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ আজ শুক্রবার রাত ৮টা ২৮ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না....... রাজেউন)।

ব্র্যাকের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গত নভেম্বর মাসের শেষের দিকে জানানো হয়েছিল, শ্বাসকষ্ট ও শারীরিক দুর্বলতার কারণে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে, এক ছেলে এবং তিন নাতি-নাতনি রেখে গেছেন। ২২ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তার মরদেহ ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে। দুপুর সাড়ে ১২টায় আর্মি স্টেডিয়ামেই নামাজে জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজার পর ঢাকার বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

চলতি বছর স্যার ফজলে হাসান আবেদ ব্র্যাকের চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি নেন। তাকে প্রতিষ্ঠানটির ইমেরিটাস চেয়ার নির্বাচিত করা হয়। ১৯৭২ সালে ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা করার পর সংস্থাটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় পরিণত হয়েছে। দারিদ্র্য বিমোচন ও উন্নয়নে ভূমিকা রাখায় স্যার আবেদ বাংলাদেশ ও বিশ্বের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ অ্যাওয়ার্ড ও সম্মাননা পেয়েছেন।

১৯৮০ সালে র‍্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার, ২০১১ সালে ওয়াইজ প্রাইজ অব এডুকেশন, ২০১৪ সালে লিও টলস্টয় ইন্টারন্যাশনাল গোল্ড মেডেল, স্প্যানিশ অর্ডার অফ সিভিল ম্যারিট, ২০১৫ সালে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি পুরস্কার অর্জন করেন। সর্বশেষ চলতি বছর তিনি সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে সাউথ এশিয়ান ডায়াসপোরা অ্যাওয়ার্ড, শিক্ষায় ভূমিকা রাখায় ইয়াডান পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন।

ব্র্যাক গ্লোবাল বোর্ডের চেয়ারপারসন আমিরা হক এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ফজলে হাসান আবেদের আত্মনিবেদন, কর্মনিষ্ঠা এবং সুদৃঢ় নৈতিক অবস্থান তাকে ব্র্যাক পরিবারের সকলের কাছে শ্রদ্ধেয় “আবেদ ভাই” করে তুলেছে। মানুষকে মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি ছিল তার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি ব্র্যাকের পরিচিতি যখন বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত হয়েছে, তখনো সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের উন্নয়নই তার অগ্রাধিকার ছিল। সততা, বিনয় এবং মানবিকতার এক বিরল দৃষ্টান্ত ছিলেন তিনি। তার এসব গুণাবলিই ব্র্যাকের প্রাতিষ্ঠানিক মূল্যবোধ গড়ে ওঠার ভিত্তি রচনা করেছে।’

ফজলে হাসান আবেদের জন্ম ১৯৩৬ সালে। ১৯৭২ সালে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে তিনি বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ৬৫ বছর বয়সে এসে তিনি নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব ছেড়ে দেন। এরপর ব্র্যাকের চেয়ারপারসন হিসেবে কর্মরত ছিলেন আরও ১৮ বছর। ৮৩ বছর বয়সে চলতি বছর স্যার আবেদ ব্র্যাকের চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি নেন। তাকে প্রতিষ্ঠানটির ইমেরিটাস চেয়ার নির্বাচিত করা হয়।

১৯৭২ সালে ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা করার পর তা বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় পরিণত হয়েছে। দারিদ্র্য বিমোচন ও উন্নয়নে ভূমিকা রাখায় স্যার আবেদ বাংলাদেশ এবং বিশ্বের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ অ্যাওয়ার্ড ও সম্মাননা পেয়েছেন। ব্র্যাকের বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের নাম ছড়িয়ে দেওয়া ফজলে হাসান আবেদ অসংখ্য সম্মাননা ও পুরস্কার পেয়েছেন। বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার, অফিসার ইন দ্য অর্ডার অব অরেঞ্জ-নাসাউ, স্প্যানিশ অর্ডার অব মেরিট, ইন্টারন্যাশনাল গোল্ড মেডেলের মতো পুরস্কারও রয়েছে তার ঝুলিতে। চলতি দশকে দুবার ফরচুন ম্যাগাজিনের নির্বাচিত ৫০ বিশ্বনেতার তালিকাতেও স্থান পেয়েছিলেন তিনি।

ফজলে হাসান আবেদ প্রতিষ্ঠিত ব্র্যাক দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এশিয়া ও আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে কাজ করছে। বিশ্বের অন্যতম বড় এনজিও হিসেবে এটি স্বীকৃত।

আরও পড়ুন আপনার মতামত লিখুন

© Copyright -Bangla Runner 2024 | All Right Reserved |

Design & Developed By Web Master Shawon