ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় ত্রাণ তৎপরতা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। ২ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার উপজেলার ১০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হয়। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক রনি মুহাম্মদের উদ্যোগে বিতরণ করা এই ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, ডাল, তেল ও আলু।
সদরপুর ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে রনির সঙ্গে সদরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মশিউর রহমান মীম, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম লিটন, ছাত্রনেতা রাজু আহম্মেদ, মোঃ জুলহাস, মোঃ সোহেল, মেহেদী হাসান, সালাউদ্দিন আহম্মেদ, আতিকুল ইসলাম, সেতু, মোহাম্মদ আলী ফাহিম, সুজন হাওলাদার, জালাল আহম্মেদসহ অনান্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন। সামনেও এই সহায্য কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিছেন তারা।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা রনি মুহাম্মদ বলেন, ‘আমরা জানি বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ নামে একটি ভয়াবহ দুর্যোগের সাথে মানুষ লড়াই করছে। এ ভাইরাস থামিয়ে দিয়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। এতে করে হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যরা একমুঠ খাবার যোগাতে হিমশিম খাচ্ছে। এই ক্রান্তিকালে অন্তত আমার পাশের পরিবারটির কেউ যেন না খেয়ে থাকে সেই জায়গা থেকে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। আমরা জানি সমাজে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে কিন্তু এই বিশাল চাহিদা মোকাবেলা করার সামর্থ্য আমাদের নেই। তবুও আমরা আমাদের সাধ্যমত সাহায্য করে যাচ্ছি।’
ত্রাণ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত আহসান হাবীব বলেন, ‘আজকে জাতির এই দুর্দিনে করোনা ভাইরাসের কারণে সমাজের নিম্নবিত্ত লোকজন খুব কষ্টে দিন যাপন করতেছে। আর তাদের এই দুঃসময়ে আমরা কিছু সমাজসেবক তাদের হাতে সামান্য কিছু খাবার তুলে দিতে পেরেছি। এ জন্য মহান আল্লাহতালার কাছে হাজার শুকরিয়া জানাচ্ছি। আর আমাদের কার্যক্রম চলমান থাকবে। সমাজের কোন বিত্তবান লোক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে আমাদের এই কাজ আরো গতি পাবে।’
সদরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মশিউর রহমান মীম বলেন, ‘দেশের এই ক্লান্তিলগ্নে সবার এগিয়ে আসা উচিত খেটে খাওয়া দিন মজুরদের পাশে। আমরা আমাদের এলাকায় সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি। সবাই নিজ নিজ এলাকায় সাহয্যের হাত বাড়িয়ে দিলে এই সংকট কেটে যাবে।’
ভাষানচর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাজু আহম্মদ বলেন, ‘সমস্ত পৃথিবী আজ এই কোভিড- ১৯ নামক ভাইরাসের ভয়াল থাবায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে। আমরা কয়েকজন যুবক মিলিতভাবে চেষ্টা করছি অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের মুখে খাদ্য সামগ্রী ও অতি প্রয়োজনীয় ঔষধ পৌঁছে দেওয়ার জন্য। আমরা জানি, এই সময়ে অনেক কঠিন কাজে লিপ্ত হয়েছি। তার পরেও আমরা বিশ্বাস করি আপনাদের সাহায্য পেলে আমরা এই কঠিন কাজকেও সহজ করতে পারবো।’
আরও পড়ুন আপনার মতামত লিখুন