শাতের সময় কম্বল, কাথা বা লেপের নিচে শরীর গরম থাকলেও পা ঠান্ডা থাকে। মূলত রক্ত প্রবাহ আমাদের শরীরকে উষ্ণ রাখে। শীতের সময় ঠাণ্ডার কারণে আমাদের হাত-পায়ের রক্তনালী সংকুচিত হয়ে আসে। এতে রক্ত সঞ্চালন কমে যায়। ফলে শরীরের অনান্য অংশের চেয়ে এখানে বেশি ঠান্ডা অনুভূতি হয়। এ কারণে অনেককেই বলতে শোনা যায় ঘণ্টাখানেক ধরে কম্বলের নিচে থাকলেও পা বরফ ঠাণ্ডা হয়ে থাকে।
আর তাই শীতের সময় উষ্ণতা পেতে অনেকেই রাতে পায়ে মোজা পরে ঘুমান। আমেরিকার ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন এক প্রতিবেদনে বলছে, ঘুমানোর সময় পা গরম থাকলে দ্রত ঘুমানো যায় এবং ঘুম ভালো হয়। তবে মোজা পরার ক্ষেত্রে কিছু অসুবিধাও দেখা দিতে পারে। যেমন—
০১. সারারাত মোজা পরে থাকলে ঘুমের সময় হৃদস্পন্দনে তারতম্য হতে পারে। এতে নিরবিচ্ছিন্ন ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
০২. টাইট বা আঁটসাঁট মোজা পরে ঘুমালে শরীরে রক্ত চলাচল ব্যহত হতে পারে, যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল নয়।
০৩. সুতি ব্যতিত নাইলন বা কৃত্রিম ফাইবারের মোজা, যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর, এমন মোজা লম্বা সময় পড়ে থাকলে ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
০৪. ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে মোজা পরতে হলে খেয়াল রাখতে হবে পা ভালোভাবে পরিষ্কার আছে কী না। অপরিষ্কার পায়ে মোজা পরলে দুর্গন্ধ তৈরি হতে পারে। আর না ধুয়ে একই মোজা টানা পরার অভ্যাস বাদ দিন। এতে ত্বকে সংক্রামণ দেখা দিতে পারে।
শীতের রাতে পা গরম রাখতে ঘুমানোর আগে পায়ের তলায় তেল মালিশ করে নিতে পারেন। চাইলে তেল সামান্য গরম করে নিতে পারেন। অথবা শুতে যাওয়ার ঘণ্টাখানেক আগে উল বা সুতির মোজা পরে পা উষ্ণ করে নিতে পারেন। তবে ঘুমানোর আগে মুজা খুলে রাখাই উত্তম হবে।
আরও পড়ুন আপনার মতামত লিখুন