আজ বিশ্ব বিচিত্রার শুরুতেই ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ মামলা’র কথা। ২০১৪ সালে নিউইয়র্কের একটি বাসে আন্তন পুরিসিমা নামের একজনকে কুকুর কামড়ালে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যান। সে সময় এক চীনা দম্পতি অনুমতি না নিয়েই আন্তন পুরিসিমা’র ছবি তোলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে নিউইয়র্ক শহর কর্তৃপক্ষ এবং আরও কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আদালতে হাতে লিখে ২২ পৃষ্ঠার এক অভিযোগ দায়ের করেন পুরিসিমা।
মামলায় উল্লেখ করেন, র্যাবিস ভাইরাসে আক্রান্ত কুকুরটির কামড় খেয়ে তিনি যে যন্ত্রণা পেয়েছেন, সেটি বর্ণনাতীত এবং পরবর্তী সময়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সময় অনুমতি না নিয়েই তাঁর ছবি তোলা হয়। এতে তিনি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।” মামলায় পুরিসিমা দুই ‘আনডেসিলিয়ন’ ডলারের ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। দুই আনডেসিলিয়ন মানে হচ্ছে দুই-এর পর ৩৩টি শূন্য! এ পরিমাণ অর্থ সারা পৃথিবীতেই নেই! যা পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ মামলা।
এবার জানাব এমন এক বিস্ময়কর ম্যারাথন দৌড়বিদের খবর। কখনও কি ভেবেছেন, আপনি বেঁচে আছেন আপনার পাকস্থলী নেই! অবাক করা বিষয় হলেও সত্যি যে, ৩৬ বছর বয়সী জুয়ান ডুয়ালের পেটের ভেতরে পাকস্থলি নেই। প্রায় ১৮ বছর ধরে তিনি এভাবেই বেঁচে আছেন এবং তিনি একজন জনপ্রিয় ম্যারাথন দৌড়বিদ। স্পেনে জন্ম নেয়া জুয়ান ১৩ বছর বয়সে ‘ফ্যামিলিয়াল মাল্টিপল পলিপোসিস’ নামক এক বিরল ব্যাধিতে আক্রন্ত হন। যা পাকস্থলিতে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করে। ফলে চিকিৎসকের পরামর্শে শরীর থেকে পাকস্থলী অপসারণের পর তাঁর ওজন ১০৬ কেজি থেকে নেমে আসে মাত্র ৫৭ কেজিতে।
শেষ অপারেশনের ৮ মাস পরই টানা ২ ঘণ্টা বার্সেলোনা হাফ ম্যারাথন শেষ করে বিস্ময় সৃষ্টি করে বসেন জুয়ান। তিনি জানান, ‘খেলাধুলা তাকে সুস্থ রেখেছে এবং বেঁচে থাকার প্রেরণা জোগায়।’ পাকস্থলি না থাকায় জুয়ানের ক্ষুধার অনুভূতি জাগে না। স্প্যানিশ সংবাদপত্র মার্কা অনুসারে, তিনি ডোনাট থেকে শুরু করে হ্যাম, পাস্তাসহ সবকিছুই মোটামুটি খেয়ে থাকেন। তবে তরলজাতীয় খাবার বেশি খান তিনি। যদিও তার শরীর কীভাবে খাদ্য প্রক্রিয়া করে তা স্পষ্ট নয়।
শেষ করছি ভিন্ন একটি খবর দিয়ে। পানি বা জলীয় বাষ্পের সংস্পর্শের কারণে পৃথিবীতে পৃথিবীতে লোহা ও টিন জাতীয় দ্রব্যের গায়ে মরিচা পড়ে। বিস্ময়কর তথ্য হচ্ছে- বায়ু শূন্য চাঁদেও মরিচা পড়ছে! বিজ্ঞানিরা ধারণা করছেন, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল থেকে অক্সিজেনের অণু যখন চাঁদের মেরুতে প্রবাহিত হয়, তখন তা লোহার সঙ্গে বিক্রিয়া করে আর এর ফলেই চাঁদে মরিচা পড়ছে।
বিশ্ব বিচিত্রা আজ এ পর্যন্তই।
আরও পড়ুন আপনার মতামত লিখুন