কফি রফতানি আয় বেড়েছে প্রতিবেশী দেশ নেপালের। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে দেশটিতে জনপ্রিয় এই পানীয় পণ্যটির অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও উৎপাদন উভয়ই বেড়েছে। খবর মাইরিপাবলিকা।
নেপালের ন্যাশনাল টি অ্যান্ড কফি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডে (এনটিসিডিবি) তথ্য বলছে, দেশটি ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ১৩ কোটি ৪ লাখ ৪১ হাজার নেপালি রূপির কফি রফতানি করেছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশটি ১১ কোটি ৭০ লাখ ৮৫ হাজার রূপির কফি রফতানি করেছিল। এ হিসেবে গত অর্থবছরে পানীয় পণ্যটির রফতানি আয় বেড়েছে ১ কোটি ৩৩ লাখ ৫৬ হাজার রূপি।
বিশ্বের ১৯৬টি দেশের মধ্যে কফি রফতানিতে নেপালের অবস্থান ১০৯তম। দেশটি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কফি রফতানির পাশাপাশি বিদেশী কফির চাহিদা থাকায় বিপুল পরিমাণ কফি আমদানিও করে থাকে। তবে এনটিসিডিবি জানিয়েছে, নেপালি কফি দেশে আমদানি করা কফির তুলনায় দুই-তিন গুণ বেশি দাম পেয়েছে।
চাহিদা মেটাতে নোপাল মোট উৎপাদনের ২০ শতাংশ পরিমাণ কফি আমদানি করেছে। এ বিষয়ে টি অ্যান্ড কফি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক বিষ্ণু প্রসাদ ভট্টরাই বলেন, ‘তরুণদের মধ্যে দিন দিন কফির সংস্কৃতি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। নেপালে যে পরিমাণে চাহিদা বেড়েছে উৎপাদনের গতি এখনো তার চেয়ে কম। তাই আমদানি-রফতানির পরিসংখ্যান বাড়ছে।’
নেপালে ২০২২-২৩ বিপণন বছরে ৩ হাজার ৬৫৫ হেক্টর জমিতে কফি চাষ হয়েছে। আগের বছর দেশটির ৩ হাজার ৩৪৩ হেক্টর জমিতে কফি চাষ হয়েছিল। এ হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে কফি আবাদি জমির পরিমাণ বেড়েছে ৩১২ হেক্টর। ২০২২-২৩ মৌসুমে নেপালে ৩৯৪ দশমিক ৪০ টন গ্রিন কফি উৎপাদন হয়েছে, যা আগের বছরের ৩৫৪ দশমিক ৯০ টন থেকে বেশি।
এনটিসিডিবি জানিয়েছে, গুণগত মান ও গন্ধের উপর ভিত্তি করে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি কেজি নেপালি কফি বিক্রি হয়েছে ১৬ ডলারে। ভট্টরাই মনে করেন, আন্তর্জাতিক বাজারে নেপালি কফির উচ্চ চাহিদা থাকা সত্ত্বেও, কম উৎপাদনের কারণে দেশটি ব্যপক বৈদেশিক মুদ্রা আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই আগামীতে পানীয় পণ্যটির চাষাবাদ কার্যক্রম আরো বাড়ানোর দিকে নজর দিবেন তারা।
আরও পড়ুন আপনার মতামত লিখুন